নিয়ন্ত্রণ থাবায় বিজ্ঞান!
ঘটনাটি আসলে কী? গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাটি কি কোনো যৌক্তিক কারণেই খারিজ করে দেওয়া হলো, নাকি স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র নিজের সুবিধার্থে তার যথেচ্ছ ক্ষমতা খাটিয়ে গবেষণা কাজটি বন্ধ করে দিলো? নিশ্চিত উত্তর পাওয়া দুষ্কর। কারণ গবেষণায় জড়িত কোনো পক্ষই এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি নয়। গবেষণাটিতে অর্থায়ণকারী মার্কিন সংস্থা, গবেষণা পরিচালনায় অংশ নেওয়া আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা বাংলাদেশ সরকারের যে সংস্থা এ কাজে জড়িত ছিল — সবাই নিশ্চুপ।
বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর, বাংলাদেশ ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআরবি এবং যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএইড গত ১২ অক্টোবর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে করোনা বিষয়ক তাদের গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল তুলে ধরে। ১৮ এপ্রিল থেকে ৫ জুলাই সময়কালে এই গবেষণা জরিপটি করা হয়েছে। গবেষণা কাজটির শিরোনাম: “ঢাকায় কোভিড-১৯ এর প্রেভেলেন্স, সেরোপ্রেভেলেন্স, এবং জিনোমিক এপিডিমিঅলজি জানার উদ্দেশ্যে।”
“প্রেভেলেন্স” (বিস্তার) বলতে বোঝানো হচ্ছে, গবেষণা পরিচালনার সময় যাদের পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কতজনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছিল। “সেরোপ্রেভেলেন্স” বলতে রক্তে সার্স-কভ-২ ভাইরাসের (যে ভাইরাস কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঘটায়) বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির মাত্রা বুঝান হয়েছে। এই সেরোপ্রেভেলেন্সের তথ্য থেকে করোনা হওয়ায় বা করোনার জীবাণু প্রবেশ করায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কতজনের শরীরে, কী মাত্রায় অ্যান্টিবডি গড়ে উঠেছে, তা বেরিয়ে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনের পর ওই তিন সংস্থার পক্ষে সম্মিলিত একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করা হয়। এতে গবেষণার পদ্ধতি (মেথডোলজি) বিষয়ে বলা হয়: “মোট ১২৯টি ওয়ার্ডের মধ্য থেকে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ২৫টি ওয়ার্ড এবং প্রতি ওয়ার্ড থেকে একটি মহল্লা ও প্রতি মহল্লা থেকে ১২০টি খানা জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর বাইরে, বস্তিগুলোর পরিস্থিতি যাচাইয়ে আটটি বস্তি জরিপে যুক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক ফলাফলের ভিত্তিতে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া খানাগুলোকে রোগের লক্ষণ উপস্থিত ও রোগের লক্ষণ অনুপস্থিত এই দুভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। রোগের লক্ষণ উপস্থিত এমন খানাগুলোর সব সদস্য এবং রোগের লক্ষণ অনুপস্থিত এমন খানাগুলোর প্রতি দশম জনকে রিয়েল টাইম পলিমারেইজ চেইন রিএকশন (অরটি-পিসিআর) পদ্ধতিতে কোভিড ও রক্তে অ্যান্টিবডি শনাক্তের পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।”
মাল্টি-স্টেজ ক্লাস্টার স্যাম্পলিং (একাধিক পর্যায়ে বিস্তৃত নমুনা সংগ্রহ) নামক এ পদ্ধতিতে গবেষকেরা মোট জনসংখ্যার ভেতর থেকে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে নির্বাচিত নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার সুযোগ পান। দৈবচয়নে নির্বাচিত নমুনা থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত দিয়ে গবেষকেরা বৃহত্তর জনসংখ্যার মধ্যে বিরাজমান পরিস্থিতি বিষয়ে অনুমান করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে নমুনার উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে ঢাকা মহানগরী ও ঢাকার বস্তিগুলোর পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা নেন গবেষকেরা। এটা বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রতিষ্ঠিত একটি পদ্ধতি। ঢাকায় এ গবেষণার মূল উদ্দেশ্যই ছিল, এতে প্রাপ্ত তথ্য থেকে ঢাকা মহানগরী ও ঢাকার বস্তিগুলোতে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পাওয়া।
বিস্তৃতি বা প্রেভেলেন্স বিষয়ে প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরে পরীক্ষা করা লোকজনের মাঝে ৯.৮% করোনায় আক্রান্ত বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, “এতে বোঝা যাচ্ছে, ঢাকা শহরে প্রতি দশ জনে একজনের করোনা পজিটিভ। বস্তিতে এই হার ৫.৭%।” কিন্তু সেরোপ্রেভেলেন্সের ফলাফল অর্থাৎ যা থেকে রক্তে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি জানা যায়, সেই পরীক্ষা সম্পর্কে প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, “যেখানে ঢাকা শহরে আইজিজি এবং/কিংবা আইজিএম সেরোপ্রেভেলেন্স পাওয়া গিয়েছে ৪৫%, সেখানে বস্তিতে এই হার ৭৪%। এ থেকে বোঝা যায় যে জুলাই ২০২০ এর মধ্যে ঢাকা শহরের ৪৫% মানুষ করোনা আক্রান্ত হলেও বস্তির ৭৪% বাসিন্দার মাঝেই তখন করোনা ছড়িয়ে পড়েছে।”
প্রেস রিলিজে আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফেরদৌসী কাদরীর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, “জরিপ চালানো স্থানগুলোতে সার্স-কভ-২ এর উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। আর জরিপে অংশ নেওয়া মানুষের মাঝে সেরোপজিটিভিটির আশা ব্যাঞ্জক উপস্থিতি থেকে বোঝা যায়, আমাদের শরীরে সার্স-কভ-২ এর বিরুদ্ধে জোর রোগ প্রতিরোধ (হার্ড ইমিউনিটি) ক্ষমতা গড়ে উঠছে।”
গবেষণাটির নমুনা তথ্য যেভাবে পুরো মহানগর ও বস্তিগুলোর পরিস্থিতি বোঝার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে তা লক্ষ্যনীয়। গবেষণার ফলাফলও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই ফলাফল বলছে, ঢাকা শহর, বিশেষত ঢাকার বস্তিগুলোতে করোনা সংক্রমিত হয়েছে বা করোনার জীবাণু শরীরে প্রবেশ করেছে, এমন জনসংখ্যার হার অনেক বেশি। ফলে সম্পূর্ণ জনগোষ্ঠীরই রোগ-প্রতিরোধক্ষম হয়ে ওঠার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের অনেক স্থানেই সেরোপ্রেভেলেন্সের এই হার ঢাকার তুলনায় অনেক কম। গবেষণার এই ফলাফল ঢাকাবাসীর জন্য একটা সুখবর বটে। কারণ, এই গবেষণা থেকে দেখা গেছে, ঢাকায় আক্রান্তদের মধ্যে লাখ প্রতি মৃত্যুর হারও অনেক কম। তাই সঙ্গত কারণেই গবেষণার এই দিকটি দেশের সব গণমাধ্যম উৎসাহের সঙ্গে প্রকাশ করে।
কিন্তু যৌথ এই প্রেস কনফারেন্স এবং গণমাধ্যমে খবরটি প্রচারের পরদিন এক বিচিত্র ঘটনা ঘটে। তিন সংস্থার মধ্যে সরকারি সংস্থা আইইডিসিআর একটি প্রেস রিলিজ দিয়ে ঘোষণা দেয় যে গবেষণার তথ্য ঢাকা মহানগরীর প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র দেয় না, এতে বলা হয়: “গতকাল ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে ঢাকা মহানগরীতে কোভিড-১৯ এর পরিস্থিতি নিয়ে আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবির যৌথ গবেষণার অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গবেষণাটি ব্যাপক প্রচারের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমসমূহকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সংবাদ সম্মেলনে এই গবেষণাটি ঢাকা মহানগরীর প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র তুলে ধরেছে বলে দাবি করা হয়নি। কিন্তু কোনো কোনো গণমাধ্যমে গবেষণাটি সমগ্র ঢাকা মহানগরের চিত্র তুলে ধরেছে বলায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এত কম সংখ্যক নমুনা পরীক্ষার ফলাফলকে সমগ্র ঢাকা মহানগরীর প্রতিনিধিত্বকারী চিত্র বলে সিদ্ধান্তে আসা উচিত হবে না। ঢাকা মহানগরীর প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে হলে ভবিষ্যতে প্রতিনিধিত্বমূলক সংখ্যক নমুনা সংগ্রহ করে আরও বড় পরিসরে গবেষণা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যসমূহকে আমাদের এ বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে বিভ্রান্তি নিরসনে সহায়তা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
সরকারি সংস্থা আইইডিসিআরের এই বক্তব্য শুধু বিস্ময়করই ছিল না, বরং তিন সংস্থার যৌথ প্রেস রিলিজে যা বলা হয়েছিল, আইইডিসিআর তার প্রেস রিলিজে সেটার উল্টো বলছে। অথচ আইইডিসিআর কিন্তু ওই যৌথ প্রেস রিলিজের অন্যতম প্রেরক ছিল। এখন আইইডিসিআর বলছে, গবেষণায় “ঢাকা মহানগরীর প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র” পাওয়া যায়নি এবং ফলাফল “সমগ্র ঢাকা মহানগরীর প্রতিনিধিত্বকারী চিত্র” না। কিন্তু মূল প্রেস রিলিজে ঠিক এর উল্টোটা বলা হয়েছে। এই গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য থেকে যদি ঢাকা শহরের পরিস্থিতি অনুমান করা না যায়, তাহলেতো এর কোনো মূল্যই থাকে না।
সেক্ষেত্রে প্রশ্ন আসে কেন সরকারি এই সংস্থা এমন বক্তব্য প্রকাশ করল?
এ কথা বাতিল করে দেয়া যাবে না যে গবেষণায় মারাত্মক ত্রুটি ঘটতে পারে। কিংবা এমন সম্ভাবনাও থাকতে পারে যে গবেষণায় ব্যবহৃত তথ্য-উপাত্তের প্রতিনিধিত্বমূলক চরিত্র হয়ত কোনো কারণে নষ্ট হয়েছে। ফলে উপাত্তগুলো ব্যবহার করে আর ঢাকা মহানগরীর পরিস্থিতি বোঝার উপায় নেই। কিন্তু কথা হচ্ছে, আইসিডিডিআরবির মতো আন্তর্জাতিক মানের একটি গবেষণা সংস্থা এমন নিম্নমানের গবেষণা কেন করবে? আর যদি তাই হয়, সেক্ষেত্রে তো এমন ত্রুটি শনাক্ত হওয়ার পর সংস্থাটি অন্তত সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিবে। অথচ তারা তা করেনি। শুধু তাই নয়, মূল প্রেস রিলিজটি এখনো আইসিডিডিআরবি তাদের ওয়েবসাইটে বহাল রেখেছে।
এখন এই বিবভ্রান্তিকর অবস্থা তৈরি হওয়ার পেছনে একটা বাস্তব ব্যাখ্যা হতে পারে যে , আইইডিসিআরের গবেষণার ফলাফলকে নাকচ করে দেওয়াটা বাংলাদেশ সরকারের অনমনীয়তা ও নিয়ন্ত্রণ-মনষ্কতারই বহিঃপ্রকাশ। এমন একটি গবেষণায় বাংলাদেশ সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ না থাকার বিষয়টি হয়ত তারা মেনে নিতে পারছে না। আবার গবেষণার ফলাফল যদি নিয়ন্ত্রণবাদী এই সরকারের জন্য অসুবিধাজনক হয়, তাহলে তা ধামাচাপা দেওয়ার মনোভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠছে আইইডিসিআরের এই পৃথক প্রেস রিলিজ থেকে।
এদিকে গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী বলা যায়, ঢাকার অবস্থা বেশ ভালো, মৃত্যু হারও উল্লেখ যোগ্যভাবে কম। তাহলে প্রশ্ন জগতে পারে, তাহলে সরকার ঠিক কী কারণে এই ফলাফল গোপন করতে চাচ্ছে? প্রাপ্ত ফলাফল দেখে সরকারের খুশি না হওয়ার পেছনে কারণ সম্ভবত এই যে, এই গবেষণা যদি সে মেনে নেয়, তাহলে তাকে ভালোটা মানার সঙ্গে সঙ্গে খারাপটাও মানতে হবে। মৃত্যু হার কম এসেছে তা ঠিক; কিন্তু সেটা মেনে নিতে হলে এটাও সরকারকে মানতে হবে যে ঢাকায় করোনা সংক্রমণের হার খুব বেশি। সরকার এ তথ্য স্বীকার করতে চায়নি।
এসব বিষয়ে সরকার যে অত্যন্ত নাজুক তা জানা কথা। গত জুন মাসে ইকোনোমিস্ট ম্যাগাজিনে আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক জন ক্লেমেন্সের একটি মন্তব্য ছাপা হয়। তিনি বলেন যে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত আনুষ্ঠানিক সংখ্যার দশ গুণ। এ মন্তব্যের কারণে তার ওপর সরকারের পক্ষ থেকে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করা হয়। তাকে এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে ও প্রেস রিলিজ প্রকাশ করতে বলা হয়। পাশাপাশি সরকার করোনার পরীক্ষাও কমিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করে। সংক্রমণের মাত্রা কমিয়ে দেখাতেই সরকার এটা করছে বলে ধারণা করা যায়।
বর্তমান বাংলাদেশে যে অবস্থা, তাতে প্রায় কোনো প্রতিষ্ঠানই আর সরকারের খবরদারির বাইরে থেকে স্বাধীনভাবে চলতে পারছে না। এই অবস্থায় আইসিডিডিআরবির মতো একটি স্বতন্ত্র সংস্থাকেও বাংলাদেশ সরকার নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেই পারে।
গবেষণার ফলাফল নিয়ে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির কারণ জানতে গবেষণায় জড়িত তিনটি সংস্থার সঙ্গেই যোগাযোগ করা হয়। ইউএসএইডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলে, আইসিডিডিআরবির সঙ্গে কথা বলতে। আইসিডিডিআরবি বলে আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। এরপর আইইডিসিআরের কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে ফের আইসিডিডিআরবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা পুনরায় অপারগতা জানিয়ে শুধু বলে, “আমারা আইইডিসিআরের মতামতকে শ্রদ্ধা করি। এ বিষয়ে আমাদের আর কিছু বলার নেই।”
এমন পরিস্থিতিতে পর্দার আড়ালে আসলে কী ঘটেছে তা সঠিকভাবে অনুমান করা দুঃসাধ্য। কিন্তু পুরো ঘটনায় যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে, তা হলো সম্ভবত আইসিডিডিআরবির অনুগত ভৃত্যের মতো আচরণ। বাংলাদেশের চলমান স্বৈরশাসনের বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এই সংস্থা নিজের গবেষণার পক্ষে কথা বলারও সাহস দেখাতে পারল না।
আইসিডিডিআরবির বর্তমান মার্কিন পরিচালক আগামী বছর তার পদ থেকে বিদায় নেবেন এবং এই প্রথম কোনো বাংলাদেশী নাগরিক সংস্থাটির পরিচালক পদে বসবেন। এ অবস্থায় সংস্থাটির যতটুকু স্বাতন্ত্র্য এখনো রয়েছে, তা কিন্তু ভবিষ্যতে আরো কমে আসার শঙ্কা থেকেই যায়। আর তা হলে সেটা হবে বাংলাদেশে স্বাধীন বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে এক অশুভ সংকেত।●
ডেভিড বার্গম্যান — ব্রিটেনভিত্তিক সাংবাদিক — সম্পাদক, ইংরেজি সংস্করণ, নেত্র নিউজ।