বুদাপেস্টে আওয়ামী লীগের ভরসা ছিলেন “সামি”
বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সব খোঁজখবর নিয়েই সামিকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র দিয়েছিল — বুদাপেস্টে তার সহায়তা নিয়েছিলেন শেখ হাসিনাও।
আল জাজিরার হুইসেলব্লোয়ার “সামি” দীর্ঘ্য সময় হাঙ্গেরিতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মন্ত্রীর সফরকালে তাদের আপ্যায়নসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়েছিলেন। তিনি ২০১২ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত হাঙ্গেরিতে আওয়ামী লীগের কোনো মন্ত্রী বা গুরুত্বপূর্ণ নেতারা সফরে গেলে তাদের আপ্যায়নের কাজ করেছেন। এমনকি ২০১৬ সালের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাঙ্গেরি সফরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বও ছিল তার উপর।
আল জাজিরার আলোচিত “অল দা প্রাইম মিনিস্টারস মেন” (ওরা প্রধানমন্ত্রীর লোক) তথ্যচিত্রের অনুসন্ধান সামির সামির দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশ সরকারের ভেতরে চলা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্নীতির চিত্র সেই অনুসন্ধানে উন্মোচিত হয়। সামির আসল নাম জুলকারনাইন সায়ের খান।
সামির সঙ্গে আওয়ামী লীগের এই ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন আলোকচিত্র ও নথিপত্র নেত্র নিউজের হাতে এসেছে। আল জাজিরার সেই তথ্যচিত্র প্রচারের পর থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সরকার সমর্থকেরা সামিকে ক্রমাগত “মাদকাসক্ত” ও “চোর” আখ্যা দিয়ে চলেছেন। তার বিরুদ্ধে “জাল সামরিক পরিচয়পত্র” বানানোর অভিযোগও করেছেন। অথচ এসব অভিযোগ নেত্র নিউজের হাতে আসা প্রমাণের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বিশেষভাবে সাংঘর্ষিক বিষয়টি হলো, জুলকারনাইনকে (তথ্যচিত্রে যাকে সামি বলা হয়েছে) ২০১৬ সালে শেখ হাসিনার বুদাপেস্ট সফর উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যাচাইবাছাই করেই নিরাপত্তা ছাড়পত্র (সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স) দেয়। জুলকারনাইন নেত্র নিউজকে বলেন, “এখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং সরকারের প্রোপাগান্ডায় আমার বিরুদ্ধে যেসব যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে সেগুলো যদি সত্য হতো, তাহলে তারা আমাকে ২০১৬ সালে কেন নিরাপত্তা ছাড়পত্র দিয়েছিল? তখন অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আমাকে কেন শেখ হাসিনার সফরের সময় তার যাতায়াত আর মোবাইল যোগাযোগের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল? শুধু তাই না, ২০১৯ সালের আগ পর্যন্ত সব মন্ত্রীদের জন্যইতো আমাকে এসব ব্যবস্থা করতে বলা হতো।”
জুলকারনাইন হাঙ্গেরি যান ২০১৩ সালে। সে বছরই তিনি সেখানে তার প্রথম রেস্তোরাঁ খুলেন। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে যখন তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বুদাপেস্ট আসেন, তখন তাকে আপ্যায়নের মধ্যদিয়ে জুলকারনাইন সফরে আসা মন্ত্রীদের আপ্যায়ন শুরু করেন।
“হাঙ্গেরিতে বাংলাদেশের কোনো আনুষ্ঠানিক দূতাবাস ছিল না এবং সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকের সংখ্যাও খুব কম। তাই অস্ট্রিয়াতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমাকে হাঙ্গেরি ভ্রমণকারী মন্ত্রীদের প্রয়োজনীয় সাহায্য দিতে বলেন”, জুলকারনাইন জানান। “মতিয়া চৌধুরী বুদাপেস্টের নভটেলে ছিলেন দুই বা তিন দিন। ওনার কাছে কোনো গাড়ীর ব্যবস্থা ছিল না। আমি তার এবং তার ব্যক্তিগত সহকারীরর জন্য গাড়ীর ব্যবস্থা করি। ওনার জন্য হালাল খাবারের ব্যবস্থাও আমি করেছিলাম।”
এ সময়ই জুলকারনাইনের সঙ্গে আমব্রুশ নিয়ারগেসের পরিচয় হয়। তিনি ছিলেন হাঙ্গেরিতে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল। নিয়ারগেস ২০১৫ সালের আগস্টে জুলকারনাইনকে “কনসাল জেনারেলের মিশন প্রধানের নির্দেশে চালিত হওয়া সাপেক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা” হিসেবে নিয়োগ দেন। এই নিয়োগপত্রে লেখা হয়, “বাংলাদেশ/বুদাপেস্ট কনস্যুলেট সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনকে অনুরোধ জানান হচ্ছে, দায়িত্ব পালনে তাকে [জুলকারনাইনকে] সকল প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের।”
অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর ২০১৫ সালের অক্টোবরে জুলকারনাইনকে বলেন, তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তারানা হালিমকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে। তারানা হালিম সে সময় সাত থেকে আটজনের একটি দলসহ বুদাপেস্টে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে আসেন, “আমি তার সফর সঙ্গীদের জন্য শহরে ভ্রমণের ব্যবস্থা করি এবং তার সম্মানে দুটি ডিনারের আয়োজন করি। এরমধ্যে একটা ছিল আমার নিজের রেস্তোরাঁয় এবং আরেকটা অভিজাত এলাকার বুদ্ধা বার রেস্তোরাঁয়।”
সেই বছর নভেম্বরে আসেন তৎকালীন বাণিজ্য মন্ত্রী আমির হোসেন আমু। জুলকারনাইন তার জন্যও অভ্যর্থনা-আপ্যায়নের কাজ করেন। জুলকারনাইন জানান, “তার হাঙ্গেরিতে কিছু কাজ ছিল। তিনি প্রথমে অস্ট্রিয়াতে আসেন এবং রাষ্ট্রদূত তখন আমাকে যোগাযোগ করে বলেন যে মন্ত্রী বুদাপেস্ট যেতে চান। আমি তার জন্য গাড়ীর ব্যবস্থা করি এবং শহরে যাবার পথে তাকে সঙ্গ দেই। রাষ্ট্রদূতও এ সময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন।”
জুলকারনাইনকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বলা হয়, সাবের হোসেন চৌধুরীকে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে। সাবের হোসেন চৌধুরী ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। জুলকারনাইন জানান, “ওনার এবং সঙ্গে আরও পাঁচজন সঙ্গীর জন্য আমি একটি ডিনারের আয়োজন করেছিলাম।”
অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত জাফর ২০১৬ সালের মার্চে বুদাপেস্টে আসেন। ওই সময় তিনি জুলকারনাইন ও একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা করেন দ্বিতীয় ওই ব্যবসায়ীর অফিসে।
“উনি বললেন যে শেখ হাসিনা বুদাপেস্টে আসছেন এ বছরের শেষ দিকে। সেই সঙ্গে বললেন, শেখ হাসিনা এবং তার ভ্রমণ দলের হোটেল, গাড়ী, সিম কার্ড ও খাবারের ব্যবস্থা করতে সাহায্য প্রয়োজন। আমি সাহায্য করতে রাজি হই”, বলেন জুলকারনাইন। “এর পরের মাস এপ্রিলে আমাকে আমার পাসপোর্ট, কোম্পানির বিস্তারিত তথ্য, আমার হাঙ্গেরির বসবাসের অনুমোদন পত্র দূতাবাসে জমা দিতে বলা হয়। সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাবার উদ্দেশ্যে আমাকে এগুলো জমা দিতে বলা হয়। আমাকে অস্ট্রিয়া দূতাবাসের তৎকালীন চ্যান্সারি প্রধান জনাব শাবাব [শাবাব বিন আহমেদ] জানান, এমন ক্ষেত্রে সাধারণ প্রটোকল হচ্ছে, ভেটিং (ব্যক্তির ইতিহাস যাচাই) করা এবং ডিজিএফআই, এনএসআই ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ আমার বিষয়ে বিভিন্ন খোঁজ খবর নিবে।”
ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) হলো বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা। এই সংস্থা দেশের প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত আর কারো কাছে জবাবদিহিতে বাধ্য না। ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) আরেকটি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
২০১৬ সালের জুলাইতে জুলকারনাইন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করতে অস্ট্রিয়া যান। রাষ্ট্রদূত তাকে জানান, নিরাপত্তা ছাড়পত্র চলে এসেছে। “রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা ছাড়পত্রের একটি কপি আমাকে দেন এবং হাসিনার সফর সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন। দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারাও সেসময় উপস্থিত ছিলেন”, বলেন জুলকারনাইন। “শেখ হাসিনা বুদাপেস্টে আসেন ২৭ নভেম্বর। প্রধানমন্ত্রী গ্রিশাম প্যালেসে ওঠেন — তারা সেখানে প্রায় ২০ থেকে ৩০টি কামরা বুক করেন। হাসিনা নিজের জন্য ৪০৬ ও ৪০৭ নম্বর কক্ষ দুটি নিয়েছিলেন। তার সফর সঙ্গীদের প্রায় বাকি অর্ধেক ছিলেন ম্যারিয়ট হোটেলে। আমি তাদের সেখানে থাকার ব্যবস্থাপনায় ছিলাম।”
জুলকারনাইন ভ্রমণকারীদের জন্য ৩৩টি গাড়ীর ব্যবস্থা করেন। এসবের মধ্যে ছিল বিভিন্ন রেইঞ্জ রোভার ও বিএমডব্লিউ। রয়্যাল লিমুজিন নামক একটি কোম্পানির কাছ থেকে ভাড়া করা হয় গাড়ীগুলো। এছাড়া তিনি প্রায় ৭০টি সিম কার্ডের ব্যবস্থা করেন শেখ হাসিনা এবং তার সফর সঙ্গীদের জন্য। এই সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানাও ছিলেন। নথিপত্রে ভাড়া করা গাড়ীগুলোর তালিকা দেখা গেছে। সেইসঙ্গে সিম কার্ডগুলো “সায়ের খান” নামের এ্যাকাউন্টে সংযুক্ত দেখা গিয়েছে। গাড়ী ভাড়া বাবদ মোট খরচ হয়েছে ৭০ হাজার ইউরো (৭০ লক্ষ টাকা)।
জুলকারনাইন ২৭ নভেম্বর দানিউব নদে একটি নৌকা ভ্রমণেরও আয়োজন করেন। শেখ হাসিনারও সেখানে অংশগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু তার বিমানে ইঞ্জিন সমস্যার কারণে পৌঁছাতে দেরি হয়। তবে অন্যান্য সফর সঙ্গীরা ওই ভ্রমণে অংশ নিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন পানি-সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং শেখ হাসিনার বেয়াই (মেয়ের শ্বশুর) খন্দকার মোশাররফ হোসেন, যিনি তখন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ণ মন্ত্রী ছিলেন। হাসিনার নিরাপত্তা দলের সদস্যরা জুলকারনাইনের রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া করেন।
বিভিন্ন আলোকচিত্র থেকে দেখা যায়, সফরের শেষ দিন জুলকারনাইনের সঙ্গে শেখ হাসিনার দেখা হয়।
অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে একটি পেইন্টিং উপহার দেওয়া হয়। জুলকারনাইন এই পেইন্টিংটি একজন স্থানীয় শিল্পীকে দিয়ে আঁকান। পেইন্টিংটিতে তরুণ শেখ হাসিনা ও তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের একটি আনন্দঘন মুহূর্ত আঁকা হয়েছিল।
হাসিনা হাঙ্গেরি ত্যাগের পর ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বুদাপেস্টে আসেন অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাফর। তিনি জুলকারনাইনকে একটি বিশেষ ধন্যবাদ পত্র দেন।
পরের বছর, ২০১৭ সালের জুলাইতে অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাস পুনরায় জুলকারনাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং জানায় যে এনামুল হক শামীম (সে সময় আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমানে একজন উপমন্ত্রী) বুদাপেস্টে ব্যক্তিগত ভ্রমণে আসছেন। জুলকারনাইন বলেন, “আমি তাকে একটা গাড়ী এবং ড্রাইভারের ব্যবস্থা করে দেই, ঘুরতে নিয়ে যাই এবং তার ও তার পরিবারের সঙ্গে কয়েকবার খাওয়াদাওয়া করি।”
এভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী এবং সরকারের ঘনিষ্ঠ লোকজনের ভ্রমণ চলতে থাকে ২০১৮ এবং ২০১৯ সাল জুড়েও।
২০১৮ সালে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সেস (এসএসএফ) এর একদল সদস্য জুলকারনাইনের অতিথি হন। এসএসএফ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনী। জুলকারনাইন বলেন, “তারা পোল্যান্ডে নিরাপত্তা প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিলেন। সে সময় তারা হাঙ্গেরিতে আসেন। আমি তাদের জন্য একটি বড় ভ্যানের ব্যবস্থা করি এবং তারা সবাই আমার রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া করেন।”
“নতুন পানি-সম্পদমন্ত্রী কর্নেল [অবঃ] জাহিদও [ফারুক শামিম] ২০১৯ এ বুদাপেস্টে আসেন। আমার সঙ্গে তার যোগাযোগেরও ব্যবস্থাও করে দেয় অস্ট্রিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস। আমার রেস্তোরাঁয় আমরা একসঙ্গে ডিনার করি”, জানান জুলকারনাইন।
ডিজিএফআইয়ের কয়েকজন সদস্য ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জুলকারনাইনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সেসময়ই তারা ইসরায়েলে উৎপাদিত নজরদারীর যন্ত্রাদি ক্রয় করেন এবং ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞদের কাছে প্রশিক্ষণ নেন। এ সাক্ষাতের রেকর্ডই আল জাজিরার আলোচিত ওই তথ্যচিত্রে দেখানো হয়।
নেত্র নিউজ অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত আবু জাফরকে উল্লেখিত সমস্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেছিলো যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ভ্রমণের সময় জুলকারনাইনকে তাদের আপ্যায়ন করতে বলেছিলেন কিনা। তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। জাফর বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
নেত্র নিউজের পক্ষ থেকে সামরিক বাহিনীর গণসংযোগ বিভাগের কাছেও জানতে চাওয়া হয়েছিল, তারা জুলকারনাইন বিষয়ে যেসব কথা প্রচার করছে তা কীভাবে সত্য হয়? কারণ ২০১৬ সালে সরকারি সব গোয়েন্দা সংস্থার খোঁজখবরের পরইতো তাকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। নেত্র নিউজের পক্ষ থেকে পাঁচ বছর সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য সরকারি ও দলীয় ব্যক্তিদের অভ্যর্থনা-আপ্যায়নে জুলকারনাইনের ভূমিকা বিষয়েও তাদের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়। তারা এ ব্যাপারে কোনো জবাব দেননি।●