জয়ের মিথ্যা দাবি: পুলিশ ৭.৬২ মিলিমিটার অস্ত্র ব্যবহার করে
সজীব ওয়াজেদ জয় বলছেন বাংলাদেশের পুলিশ ৭.৬২ মিলিমিটার অস্ত্র বা কার্তুজ ব্যবহার করে না। কিন্তু নথিপত্র ও উন্মুক্ত সূত্র থেকে প্রমাণ মিলছে যে, শেখ হাসিনার সরকারের সময় থেকেই বাংলাদেশের পুলিশ এই ধরণের রাইফেল কিনেছিল এবং আন্দোলনকারীদের উপর ব্যবহারও করেছিল।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি একাধিকবার দাবি করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ ৭.৬২ মিলিমিটার কার্তুজের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে না। সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের সময় যেসব মানুষের শরীরে এই ধরণের গুলি পাওয়া গেছে, তাদেরকে পুলিশ নয়, তৃতীয় কোনো পক্ষ গুলি করেছিল বলে তার যুক্তি। কিন্তু নেত্র নিউজের কাছে আসা সরকারি নথিপত্র বলছে, বাংলাদেশ পুলিশ এই ৭.৬২ মিলিমিটার গুলি ও অস্ত্র বহুদিন ধরেই ব্যবহার করে আসছে। এমনকি সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থানেও নিরাপত্তা বাহিনী এই আকারের গুলি ধারণকারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
আওয়ামী লীগ ও জয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক ও এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে করা এই ধরণের পোস্টে এক লক্ষেরও বেশি মানুষ রিঅ্যাকশন দেখিয়েছে। এসব পোস্ট অন্তত সাত হাজার বার শেয়ার হয়েছে। জয়ের পোস্ট করা এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ১৪ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। এক্সে তার দুটি পোস্ট দেখেছে দুই লক্ষাধিক ব্যবহারকারী। কিন্তু কোনো পোস্টই ফেসবুকের ফ্যাক্টচেকারদের পর্যালোচনার আওতায় আসেনি। এক্স-এ যুক্ত হয়নি কমিউনিটি নোট।
সাক্ষাৎকার থেকে বিকৃতির উৎপত্তি
বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেনের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জয় ও আওয়ামী লীগের এই বিকৃতির সূত্রপাত। ১২ আগস্ট একটি হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের দেখতে গিয়ে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেছিলেন অনেক আহত ব্যক্তির শরীরের ক্ষতস্থান থেকে ৭.৬২ মিলিমিটার বুলেটের অবশিষ্টাংশ পাওয়া গেছে। বেসামরিক বা সাদা পোশাকে থাকা অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা এই গুলি ছুড়ে থাকতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।
এই বক্তব্যের সূত্র ধরে নিজের ৩৫ লাখ অনুসারীর উদ্দেশ্যে লেখা এক পোস্টে জয় আন্দোলনে নিহতদের কারা গুলি ছুঁড়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখা ওই পোস্টের বক্তব্য কিছুটা আলাদা। বাংলা ভাষার অংশে তিনি দাবি করেন, “যেই অস্ত্র পুলিশের কাছেও নাই সেরকম অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়েছে আনসার সদস্যদের, ৭.৬২ মিমি রাইফেল দিয়ে।” কিন্তু সাখাওয়াত হোসেন তার ওই বক্তব্যেই বলেছিলেন, “এটা তো পুলিশের হাতে আছে, তারা ইউনিফর্মে আছে, মেনে নিলাম।”
পোস্টটির ইংরেজি অংশে, “পুলিশের কাছে ৭.৬২ মিলিমিটারের অস্ত্র নেই” — এমন দাবি করেননি জয়। তবে তিনি লেখেন, “৭.৬২ মিলিমিটার বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। কারা এই অস্ত্র সরবরাহ করলো? কারা হত্যাকারী?”
তার এই পোস্ট দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে। শতশত ফেসবুক একাউন্ট ও পেইজ থেকে ছড়ানো হয় এই বক্তব্য। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকা A-Team নামে একটি পেইজে এই বক্তব্যের ভিত্তিতে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ওই ভিডিওতে ১৮০০ জন মানুষ রিঅ্যাকশন দিয়েছেন। ভিডিওটি ৮৪ হাজার বার দেখা হয়েছে।
মিথ্যার পুনরাবৃত্তি
কয়েক মাস পর জয় ফের তার ওই মিথ্যা প্রচার করেন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নকে (র্যাব) উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “তাদের কাছে সাদা পোশাকধারীদের একে-৪৭ রাইফেল দিয়ে গুলি ছোঁড়ার ভিডিও আছে।” একে-৪৭ হলো ৭.৬২ মিলিমিটার গুলি ধারণকারী এক ধরণের অস্ত্র। তিনি আরো বলেন, “এগুলো আমাদের পুলিশ সদস্যরা ব্যবহার করে না এবং বাংলাদেশে নিষিদ্ধ।”
এক দিনের মধ্যেই অক্টোবরের ৩ তারিখ আওয়ামী লীগের নিজস্ব পেইজে একই ধরণের একটি বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, “আপনারা দেখেছেন ১৬ জুলাই থেকেই ছাত্রদের আন্দোলনকে হাইজ্যাক করে দেশের রাজনৈতিক অপশক্তি ও বিদেশী এজেন্টরা কিভাবে হত্যা ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এমনকি ছাত্রদের উপর ৭.৬২ রাইফেল ব্যবহার করে গুলি চালিয়ে পরিস্থিতিকে অগ্নিগর্ভ করে তোলা হয়।”
সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারেও জয় এই প্রচারণার পুনরাবৃত্তি করেন। তার দাবি, গণঅভ্যুত্থানে মারা যাওয়া আনুমানিক ১,৫০০ মানুষের মধ্যে “অন্তত অর্ধেক” নিহত হয়েছেন একটি বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার সরবরাহ করা অস্ত্রে সজ্জিত “সন্ত্রাসীদের” হাতে।
তার এই প্রচারণার অন্যতম মূল যুক্তি হলো ৭.৬২ মিলিমিটারের কার্তুজ, গুলি ও অস্ত্র বাংলাদেশের কোনো বাহিনী ব্যবহার করে না; কিন্তু যেহেতু হতাহতদের শরীরে এই গুলি পাওয়া গেছে, তার অর্থ এই গুলি ভিন্ন কোনো পক্ষ সরবরাহ করেছে।
দাবির বিপরীতে প্রমাণ
নেত্র নিউজের সংগ্রহ করা নথিপত্র ও উন্মুক্ত উৎস থেকে পাওয়া ছবি ও ভিডিও জয়ের এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে মিথ্যা প্রমাণ করছে।
প্রথমত, বাংলাদেশে শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীদের উপর বাংলাদেশের পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনীর প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার ব্যাপক আকারে নথিবদ্ধ করেছে দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা। এই বিষয়ে জাতিসংঘের একটি তদন্তও চলছে। আন্দোলন তুঙ্গে থাকার সময় সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা আন্দোলনকারীদের উপর “দেখামাত্র গুলি” ছোঁড়ার নির্দেশ প্রকাশ্যেই দিয়েছেন। আন্দোনকারীদের উপর বলপ্রয়োগের পক্ষে দম্ভ নিয়ে সাফাই গেয়েছেন।
এছাড়া বেসামরিক ব্যক্তিদের হাতে অস্ত্র থাকার খবর বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে এসেছে বটে; তবে সকল প্রতিবেদনেই দায়ী করা হয়েছে তৎকালীন শাসক দলের সদস্যদের। শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাত্র এক দিন আগে, অর্থাৎ ৪ আগস্ট শিক্ষার্থীদের উপর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের চিত্র বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে উঠে আসে। একইদিন বেসরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির ফুটেজে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী ভারী অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন। আগ্নেয়াস্ত্র বিশেষজ্ঞ ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা ড. মো. খান সোবায়েল বিন রফিক ওই অস্ত্রকে একে-৪৭ ঘরানার অস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। একে-৪৭ রাইফেলে ৭.৬২ মিলিমিটার কার্তুজ ব্যবহার করা হয়। ফেনীতে আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্যের সহযোগীদের কাছে ভারী আগ্নেয়াস্ত্র থাকার ভিডিও প্রকাশিত হয় ভোরের কাগজ পত্রিকার ইউটিউব চ্যানেলে। ড. সোবায়েলের মতে, ওই অস্ত্র “এম-১৫ শ্রেণির একটি সামরিক অস্ত্র — সম্ভবত ২-এসটিজি সেমি-অটোমেটিক রাইফেল।”
বাংলাদেশ পুলিশ ৭.৬২ মিলিমিটার অস্ত্র কিনেছে
নেত্র নিউজের সংগ্রহ করা সরকারি নথিপত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাংলাদেশ পুলিশ শেখ হাসিনার শাসনামলেই কয়েক দফায় ৭.৬২ মিলিমিটার গুলি ও অস্ত্র কিনতে দরপত্র আহ্বান করেছিল।
মার্চ ২০২৩: পুলিশ সদর দপ্তর ত্রিশটি ৭.৬২ মিলিমিটার স্নাইপার রাইফেল কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করে। ওই সময় নিউ এজ পত্রিকা এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
মার্চ ২০২৪: হাসিনা-বিরোধী আন্দোলনের মাত্র কয়েক মাস আগেও বাংলাদেশ পুলিশ ৭.৬২ মিলিমিটার স্নাইপার রাইফেল কেনার জন্য আরেকটি দরপত্র আহ্বান করে। ২০২৪ সালের ২৪ মার্চ প্রকাশ করা এই বিজ্ঞপ্তিতে পঞ্চাশটি ৭.৬২ মিলিমিটার স্নাইপার রাইফেলের জন্য প্রস্তুতকারী ও সরবরাহকারীদের কাছে দরপত্র দাখিলের আহ্বান জানানো হয়।
সেপ্টেম্বর ২০১৯: এর আগেও পুলিশ সদস্যদের জন্য বিপুল পরিমাণ ৭.৬২ মিলিমিটার রাইফেল কেনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ১৫ হাজার ৭.৬২ মিলিমিটার সেমি-অটোমেটিক রাইফেল কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী যে টাইপ-৫৬ সেমি-অটোমেটিক রাইফেল ব্যবহার করে সেগুলোতেও ৭.৬২ মিলিমিটার কার্তুজ ব্যবহার করা হয়।
অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা আমাদের নিশ্চিত করেছেন যে বাংলাদেশ পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা চীনের তৈরি টাইপ-৫৬ সেমি-অটোমেটিক রাইফেলের সঙ্গে ৭.৬২×৩৯ মিলিমিটার গুলি ব্যবহার করে থাকেন।
Police Tender Doc 7.62mm by Netra News Documents
পুলিশের ৭.৬২ মিলিমিটার অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ
একাধিক ছবি ও ভিডিওতেও দেখা গেছে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের উপর ৭.৬২ মিলিমিটার গুলি ধারণকারী বন্দুক ব্যবহার করছেন:
বাংলাদেশের ডেইলি স্টার সংবাদপত্র এক অন্তত ১২টি ছবি প্রকাশ করেছে যেখানে আন্দোলনকারীদের দিকে টাইপ-৫৬ রাইফেল তাক করতে দেখা গেছে পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন), আনসার ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের।
আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একটি ছবিতে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মার্কেট এলাকায় আন্দোলনকারীদের দিকে টাইপ-৫৬ রাইফেল তাক করে থাকতে দেখা যায়।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের অপর একটি ছবিতে দেখা গেছে ৫ আগস্ট একজন এপিবিএন সদস্য একটি চীনা টাইপ-৫৬ সেমি-অটোমেটিক রাইফেল তাক করে আছেন।
২৫ জুলাই মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টির খ্যাতনামা ইন্টারন্যাশনালের ক্রাইসিস এভিডেন্স ল্যাব একাধিক ভিডিও বিশ্লেষণ করে একটি বিবৃতি দিয়ে নিশ্চিত করেছে যে আন্দোলনকারীদের দিকে লক্ষ্য করে চীনা টাইপ-৫৬-১ অ্যাসল্ট রাইফেল ব্যবহার করে গুলি ছোঁড়া হয়েছে।
বাংলাদেশের আরটিভির একটি ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যরা টাইপ-৫৬ সেমি-অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে ৭.৬২×৩৯ মিলিমিটার গুলি ছুড়ছেন আন্দোলনকারীদের দিকে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা যিনি আন্দোলনের সময় উত্তরায় দায়িত্ব পালন করছিলেন, তিনি নেত্র নিউজকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “উত্তরাতে আমি নিজেই দেখছি পুলিশকে হরদম চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি ছুঁড়তে।”
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক হেভি উইপনস ইন্সট্রাক্টর অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাফায়াত আহমেদ নেত্র নিউজের ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে অস্ত্রের ধরণ শনাক্ত করেন। একটি ছবিতে পুলিশের ব্যবহার করা বন্দুক সম্পর্কে তিনি বলেন, “এখানে এই বেড়ার ভেতর থেকে যে অস্ত্র দিয়ে গুলি ছুঁড়তে দেখা যাচ্ছে এটা হচ্ছে ৭.৬২ মিলিমিটার সেমি-অটোমেটিক রাইফেল টাইপ-৫৬ — যেটাকে আমরা ‘চায়না রাইফেল’ বলে থাকি।”
অপর একটি ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, “বায়তুল মোকাররম এলাকায় যেটা দিয়ে গুলি করা হচ্ছে এটা ৭.৬২ মিলিমিটার সাব-মেশিন গান শ্রেণির ‘টাইপ-৫৬’; এটা অটোমেটিক রাইফেল, মানে ধরেন, আপনি যদি ট্রিগারে চাপ দিয়ে ধরে রাখেন পুরা ম্যাগাজিনের সব বুলেট বের হয়ে আসবে।”
“এগুলোকে টাইপ-৫৬ বলে কারণ ঐ বছর [১৯৫৬ সালে] চীন এই অস্ত্র তৈরির লাইসেন্স এবং প্রযুক্তি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে যোগাড় করে এই রাইফেল তৈরি শুরু করে।”
অর্থাৎ সজীব ওয়াজেদ জয় যে দাবি করছেন বাংলাদেশ পুলিশ ৭.৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহার করে না এবং আন্দোলনের সময় মৃত্যুর জন্য ভিন্ন একটি পক্ষ দায়ী, তা মিথ্যা প্রমাণ করার মত যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। নথিপত্র, ছবি ও ভিডিও, বিশেষজ্ঞদের মতামত ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের কাছে ৭.৬২ মিলিমিটার রাইফেল ছিল এবং তারা সেগুলো আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে তারা ব্যবহারও করেছেন। ●
[সংশোধনী: প্রতিবেদনটিতে ভুলক্রমে সাখাওয়াত হোসেনের হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাওয়ার তারিখ ৮ আগস্ট লেখা হয়েছিল। সঠিক তারিখটি হচ্ছে ১২ আগস্ট। তারিখটি সংশোধন করা হয়েছে।]