শরীর নারীর, সিদ্ধান্ত পুরুষের

বাংলাদেশের নারীদের এখনও নিজেদের মৌলিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পুরুষের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। নিজেদের অধিকারের জন্য তারা যে লড়াই করছে তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর ন্যূনতম সমর্থনও তারা পাচ্ছে না।

শরীর নারীর, সিদ্ধান্ত পুরুষের

একজন শহুরে নারী হিসেবে আমি একসময় বিশ্বাস করতাম যে, স্বাধীনতা হলো স্টেরিওটাইপগুলোকে ভেঙে ফেলা। কিন্তু শহুরে বস্তি এবং গ্রামীণ সম্প্রদায়গুলোতে কাজ করার পর আমার দৃষ্টিভঙ্গি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়। উন্নয়নখাতে কাজ করা একজন নারী হিসেবে আমি একটি কঠোর সত্য আবিষ্কার করি— নারীদের শারীরিক সুস্থতার উপর তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা না থাকা। এটা বর্তমানে সবচেয়ে উপেক্ষিত বৈষম্যেগুলোর মধ্যে একটি।  স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ, প্রজনন নিয়ে সিদ্ধান্ত, এমনকি জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে এমন অসুস্থতার জন্য চিকিৎসা— যাই হোক না কেন, নারীদের নির্ভরশীল থাকতে হয় পুরুষদের করুণার ওপর। এটা কেবল একটা গ্রামীণ ঘটনা নয়— এটা একটি পদ্ধতিগত সমস্যা, যা ভৌগোলিক অবস্থান, শ্রেণি এবং সংস্কৃতিজুড়ে বিস্তৃত হয়ে আছে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উচ্চাকাঙ্ক্ষী সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যে ১১টি কমিশন গঠন করেছে তার মধ্যে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বেশি। লিঙ্গ বৈষম্যের কাঠামো বাংলাদেশের সমাজে শেকড়প্রোথিত। কমিশন সে কাঠামো ভেঙে ফেলার লক্ষ্যে ১৫টি বিষয়ভিত্তিক ক্ষেত্রে ৪৩৩টি সুপারিশ করেছে। পর্যালোচনা করলে স্পষ্ট দেখা যায়, প্রতিটি সুপারিশই প্রাসঙ্গিক ও বাস্তবিক। আশা করা যায়, উগ্রবাদী গোষ্ঠীর তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ স্বত্ত্বেও অন্তত কিছু সুপারিশ বাস্তবায়িত হবে।  

সরকারি সংস্কারের বাইরে ব্যক্তিগত জীবনেও সংস্কার প্রয়োজন। আমরা যদি নারীদের জন্য সহমর্মিতা  প্রকাশ করতে চাই, তাহলে আমাদের তাদের প্রতিদিনকার সংগ্রামের ভার অনুভব করতে হবে। যখন আমরা ৪০০ দফার তালিকাটিতে চোখ বোলাই, তখন একে আমলাতান্ত্রিক প্রতিবেদনের মতো মনে হবে— প্রাণহীন এবং অপ্রাসঙ্গিক । কিন্তু যখন আমরা গভীরভাবে, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে লক্ষ্য করি, তখন আমরা একে অনুভব করতে শুরু করি। আর যখন আমরা অনুভব করি, আমরা তখন দায়িত্ব নিতে শুরু করি। আর যখন দায়িত্ব নিই তখন কাজ করি। এভাবেই একটি সমস্যা, একটি গল্পের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হতে শুরু করে। সম্ভবত তখনই প্রকৃত পরিবর্তন শুরু হতে পারে, সম্মেলন কক্ষে নয় বরং আমাদের সম্মিলিত বিবেকের মধ্যে।

আমি এমন একটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করতে চাই যা অসংখ্য বাংলাদেশী নারী মুখোমুখি হয়। যখন আমরা "স্বাধীনতা" নিয়ে কথা বলি তখন আমরা আসলে কিসের “স্বাধীনতা” নিয়ে কথা বলি? কোন স্বাধীনতা? এটা কি আপনার পোশাক, আপনার ক্যারিয়ার, আপনার জীবনের পথ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা? 

কারো কারো কাছে এটা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। কারো কাছে, ভয় ছাড়াই কথা বলার স্বাধীনতা। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক নারীর জন্য, “স্বাধীনতা” আরো গভীর, আরো মৌলিক কিছু দিয়ে শুরু হয়। আর সেটা হলো— তাদের নিজেদের শরীর এবং তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার। হৃদয়বিদারক ঘটনা হলো, ২০২৫ সালে এসেও নারীর শরীর ও স্বাস্থ্যের ওপর তাদের স্বায়ত্বশাসনের অধিকার বিতর্কের মুখে পড়ছে।

সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথে অদৃশ্য বেড়ি

বাংলাদেশে, একজন মহিলার স্বাস্থ্য খুব কমই তার নিজস্ব ব্যাপার হিসেবে বিবেচিত হয়। ঘুম থেকে ওঠার মুহূর্ত থেকে ঘুমানোর মুহূর্ত পর্যন্ত তার পছন্দগুলো তার স্বামী, বাবা বা শ্বশুরবাড়ির লোকদের দ্বারা নির্ধারিত হয়। ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে? আপনার স্বামীকে জিজ্ঞাসা করুন। অসুস্থ বোধ করছেন? এটি চেপে রাখুন, কারণ আপনার ব্যথা প্রকাশ করলে অন্যদের অসুবিধা হতে পারে। এমনকি যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের মতো ব্যক্তিগত কোনো কিছুর জন্যও, নারীদের প্রায়শই চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতির প্রয়োজন হয়। যদি তারা কোনো স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যেতে সক্ষম হন, তবে অভিজ্ঞতাটি প্রায়শই এতটাই অমানবিক যে, তারা ফিরে আসার আগে দু’বার ভাবেন।

আমার অভিজ্ঞতা থেকে একটা প্রায়শ দেখতে পাওয়া দৃশ্যের কথা বলি। এক গ্রাম বা গ্রামাঞ্চলের শহরে একজন মহিলা তীব্র পেট ব্যথার সাথে লড়াই করছেন। তিনি জানেন যে, কিছু একটা সমস্যা আছে। কিন্তু তার স্বামী তার লক্ষণগুলোকে "স্বাভাবিক" বা "কেবলমাত্র মানসিক চাপ" বলে উড়িয়ে দেন। ব্যথা অসহনীয় হয়ে উঠলে অবশেষে তিনি স্থানীয় সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে রাজি করান স্বামীকে। সেখানে তিনি দীর্ঘ লাইন, কর্মচারীদের অবহেলা এবং ওষুধের অপ্রতুলতার মুখোমুখি হন। যদি তিনি ভাগ্যবান হন, তাহলে তাকে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে স্থানাস্তর করা হতে পারে। কিন্তু এর জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়, যা তার স্বামী নিয়ন্ত্রণ করে। শেষ পর্যন্ত, সে চিকিৎসা ছাড়াই বাড়ি ফিরে যায়, তার অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হতে থাকে।

আমি সারা দেশে এই ধরনের ঘটনা বারবার দেখেছি। নারীদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়, কারণ তাদের নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার আর্থিক এবং মানসিক স্বাধীনতা নেই। মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপ। থেরাপি বা কাউন্সেলিং খোঁজাকে একটা বিলাসিতা হিসাবে দেখা হয়। মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা যেন কেবল সুবিধাভোগীদের জন্য সংরক্ষিত, বাকিদের জন্য নীরবে কষ্ট করাই একমাত্র পথ।

পুরুষের বিশেষায়িত জ্ঞানের লোকমান্যতা

এই ইস্যুর সবচেয়ে বিরক্তিকর দিকগুলির মধ্যে একটি হলো, সমাজে এমন ধারণা মান্যতা পায় যে, পুরুষরা জানেন নারীদের শরীরের জন্য কোনটি সবচেয়ে ভালো। আমার কাজের সময়, আমি এমন পুরুষদের দেখা পেয়েছি, যারা গর্বের সাথে বলে বেড়াতেন যে, সরকারের “জরায়ুমুখ ক্যান্সার টিকাদান কর্মসূচি” বাংলাদেশী মহিলাদের বন্ধ্যাকরণের একটি পশ্চিমা প্রকল্প। তারা তাদের সমগ্র সামাজিক বৃত্তকে, তাদের স্ত্রী এবং কন্যাদের টিকাদান থেকে দূরে রাখতে রাজি করিয়েছিলেন। তাদের অজ্ঞতা কেবল হাস্যকর ছিল না, একটা বিপজ্জনক সিদ্ধান্তও ছিল।

জরায়ুমুখ ক্যান্সার বাংলাদেশে নারীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। আনুমানিক প্রতি বছর প্রায় ৮,০০০ থেকে ১৭,০০০ নতুন কেস এবং ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ মৃত্যুর ঘটনা সামনে আনে। এটি দেশের নারীদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক সাধারণ ক্যান্সারের ধরন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তবুও, পুরুষরা নিছক ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে নারীদের স্বাস্থ্যসেবা-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো নির্ধারণ করছে।

এটি কেবল অজ্ঞতার বিষয় নয়। এটি ক্ষমতা-সম্পর্কিত বিষয়ও। বিশেষ করে নারীর শরীরের ওপর নিজের কর্তৃত্ব থাকলে অজ্ঞতার কোনো প্রভাব থাকতো না। আমাদের সমাজে, যা আমাদের সরকার দ্বারা সমর্থিত এবং উৎসাহিত— পুরুষরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখে যে, একজন মহিলা বেঁচে থাকবেন নাকি মারা যাবেন, তিনি চিকিৎসা পাবেন নাকি নীরবে কষ্ট ভোগ করবেন। এই ক্ষমতার গতিশীলতা নারীর স্বাস্থ্যের প্রতিটি দিকেই বিস্তৃত— গর্ভনিরোধ থেকে শুরু করে সন্তান প্রসব, গর্ভপাত পর্যন্ত।

গর্ভনিরোধক ধাঁধা

যখন মহিলাদের একাধিক বিকল্প থাকে— বডি, ইমপ্ল্যান্ট, আইইউডি, তখন পুরুষদের ঠিক দুটি বিকল্প থাকে— কনডম এবং ভ্যাসেকটমি। তবুও, পরিবার পরিকল্পনার চাপ নারীরাই বহন করে। আমি কতজন মহিলার সাথে দেখা করেছি যারা মৌখিক গর্ভনিরোধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভোগেন। কারণ তাদের স্বামীরা কনডম ব্যবহার করতে অস্বীকার করেন, তার সংখ্যা আমার অজানা। যখন এই গর্ভনিরোধকগুলো ব্যর্থ হয়, যেমনটি প্রায়শই হয়, তখন মহিলারাই তার মূল্য দেন।

আমার একটি বিশেষ হৃদয়বিদারক ঘটনা মনে আছে। বিশের কোঠার এক তরুণী অবৈধ ‘এমআরএম কিট’ ব্যবহার করে বাড়িতে তিনটি গর্ভপাত করিয়েছিলেন। প্রতিবারই, তিনি অকল্পনীয় যন্ত্রণা এবং মানসিক আঘাত সহ্য করে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে রক্তপাত করতেন। যখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, কেন তিনি চিকিৎসার সাহায্য নেননি, তখন তিনি কেবল বললেন, "আমার স্বামী এটি প্রয়োজনীয় বলে মনে করেননি"। 

তারপর ভ্যাসেকটমির বিষয়টিও আসে। মহিলাদের স্থায়ী বন্ধ্যাকরণের আশা করা হলেও, পুরুষরা খুব কমই এটিকে একটি বিপরীত পদ্ধতির বিকল্প বলে মনে করেন। একটি অদ্ভুত ঘটনায়, একজন তরুণ রিকশাচালক ২০০০ টাকার বিনিময়ে (প্রায় ২০ ডলার) ভ্যাসেকটমি করিয়েছিলেন। মাত্র এক মাস আগে তার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তার স্ত্রী ভেঙে পড়েছিলেন। মা হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল এবং এই বিষয়ে তার কোনও বক্তব্য ছিল না।

এখন, বিপরীত ঘটনা কল্পনা করুন। যদি একজন নববিবাহিত মহিলা তার স্বামীর সাথে পরামর্শ না করেই স্থায়ী বন্ধ্যাকরণের সিদ্ধান্ত নেন তবে কী হবে? প্রতিক্রিয়া দ্রুত এবং তীব্র হবে। নির্যাতিত না হলে তাকে সম্ভবত পরিত্যক্ত করা হবে। কিন্তু যখন পুরুষরা এই সিদ্ধান্তগুলো নেযন, তখন এটা তাদের অধিকার হিসেবে দেখা হয়— কারণ তারাই অর্থ উপার্জন করেন। অথবা যখন তারা অর্থ উপার্জন করেন তখন তারা সব নিয়ন্ত্রণও করবেন, এ-ই হলো সমাজমান্য ধারণা ।

পুষ্টির বৈষম্য

স্বাস্থ্যসেবার বাইরেও পুষ্টির মতো মৌলিক বিষয় পর্যন্ত বৈষম্যে বিস্তৃত। গ্রামীণ বাংলাদেশে, মহিলারা প্রায়শই খাওয়ার ক্ষেত্রে শেষে এবং ত্যাগ স্বীকারে প্রথমে থাকেন। আমি দেখেছি, মায়েদের তাদের সন্তান এবং স্বামীদের জন্য ফল, ডিম এবং অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার সংরক্ষণ করতে হয় নিজেদের বঞ্চিত করে। ফলাফল? এই মহিলাদের মধ্যে তীব্র রক্তাল্পতা এবং অপুষ্টি ব্যাপক। এটা কেবল একটা সাংস্কৃতিক সমস্যা নয়, এটা একটা অর্থনৈতিক সমস্যা। যখন পুরুষরা পরিবারের আয় নিয়ন্ত্রণ করে, তখন তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে টেবিলে কী থাকবে। প্রায়শই, মহিলাদের পুষ্টির চাহিদাগুলো একটু পরের চিন্তা হিসেবে থাকে।

সমাধান কী?

দ্রুত উত্তর হলো, বিষয়টি স্বীকার করা এবং "অনুভব” করা। তারপর নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং সম্মিলিত সচেতনতার দিকে প্রসারিত হওয়া। শিক্ষিত এবং আর্থিকভাবে স্বাধীন নারীদের তাদের নিজস্ব স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তারা চিকিৎসাসেবা নেওয়ার, গর্ভনিরোধক ব্যবহার করার এবং তাদের সন্তানদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার সম্ভাবনা বেশি।

কিন্তু অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন কেবল অর্থ উপার্জনের বিষয়ে নয়, এটা মানসিকতা পরিবর্তনের বিষয়েও জোর দেয়। পুরুষরা সব জানে— এই ধারণা ও বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করার বিষয়েও জোর দেয়। এটা এমন একটা সমাজ তৈরির বিষয়ে তাগাদা তৈরি করে, যেখানে নারীর স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার হিসেবে দেখা হবে, পরের চিন্তা হিসেবে নয়।

তবে এটি রাতারাতি ঘটবে না। এর জন্য পদ্ধতিগত পরিবর্তন প্রয়োজন। জনস্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করা থেকে শুরু করে শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানে লিঙ্গ-সমতা নিশ্চিত করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, “স্বাধীনতা” সম্পর্কে আমাদের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন প্রয়োজন।

কারো কারো কাছে, প্রকৃত স্বাধীনতা হলো বাধা ভেঙে ফেলা বা মাইলফলক অর্জন করা। তবে, এটা আপনার নিজের শরীর এবং জীবনের মতো মৌলিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বায়ত্তশাসন দিয়েও শুরু হতে পারে। যতক্ষণ না প্রতিটি নারী সেই স্বাধীনতা না পায়, ততক্ষণ আমাদের কাজ শেষ হবে না।●

খাদেজা আক্তার একজন মানবাধিকার কমী ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।