টিকে থাকার লড়াই ছাড়া বিকল্প নেই আদিবাসীদের
বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের জন্য লড়াই করে আসছেন। নাগরিক মর্যাদা পাওয়ার বদলে দমন-পীড়ন ও নিশ্চিহ্নকরণ কর্মসূচির মুখে রয়েছেন তারা।
বিক্ষুব্ধ একদল শিক্ষার্থী রাস্তা আটকে গগনবিদারী স্লোগান দিচ্ছেন। তারা ন্যায় বিচার চাইছেন। যৌন নিপীড়নের বিচার, ধর্ষণের বিচার, হত্যার বিচার। কারণ তাদের মতোই এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ঘরের কাজ ফেলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন একদল মা-ও।
এক পর্যায়ে তাদের সরে যেতে বলে নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনী। বিক্ষুব্ধরা সরেন না। উল্টো বাহিনীর সদস্যদের চোখে চোখ রেখে চিৎকার করে জানতে চান, ”আপনারা তো পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত। তাহলে এখানে এত ধর্ষণ হয় কেন? ধর্ষকদের ধরতে পারেন না কেন”?
বাহিনীর সদস্যরা কোনো জবাব দিতে পারেন না।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের ওপর সংঘটিত নিপীড়নের স্মৃতি এখনো দগদগে। আমরা আশঙ্কা করছিলাম — সেপ্টেম্বরের মতো আরেকটা ঘটনা ম্যানুফেক্চারিং হচ্ছে কি না। সত্যি সত্যি তা-ই হলো! গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরী ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত প্রতিবাদ দমাতে আবারও পুরনো পথ বেছে নিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পাহাড়ে যে কোনো একটা ঘটনা পরিকল্পনামাফিক ঘটানো হয় এবং সে ঘটনায় কোনো না কোনোভাবে পাহাড়ি-বাঙালিদের মুখোমুখি করা হয়। এরপর বাঙালি সেটেলারদের পক্ষ নিয়ে পাহাড়ি আদিবাসীদের ওপর সেনাবাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া যায়।
অন্যদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, আদিবাসীদের নিয়ে ছড়ানো হয় তীব্র ঘৃণা। সেখানে ঘৃণাবাদী এক শ্রেণির বাঙালি, পাহাড়িদের হত্যা, ধর্ষণসহ বর্বর সব নিপীড়নের হুমকি দেয়। এও অভিযোগ আছে, হুমকিদতাদের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে, কিছুই করতে দেখা যায় না, বরং যত চোটপাট সব আদিবাসীদের উপরেই করতে দেখা যায়। কারণ বারবার মার খাওয়া, নিপীড়ন সহ্য করা ছাড়া, দুর্বল আদিবাসীদের কোনো সহায় নেই, করণীয় নেই।
যেটুকু করণীয় থাকে, তার নাম প্রতিবাদ। মার খেতে খেতে অস্তিত্বে টান পড়লে, মাঝে মাঝে আদিবাসী শিশু-কিশোর, ছাত্র-তরুণ, নারী ও পুরুষরা প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। সে প্রতিবাদ দমনে বর্বর পন্থা বেছে নিতে দেখা যায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে। এতটা বল প্রয়োগ করে যে, রীতিমতো গুলি চালানো অভিযোগও আসে। কখনো কখনো গুমও হয়ে যান অনেকে। আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনী ধরে নিয়ে যাওয়ার পর, খোঁজ মেলেনি এমন নজির অহরহ।
এবারের ঘটনা গণমাধ্যমের বরাতে যতটুকু জানা গেছে তা হলো- ধর্ষণের প্রতিবাদে আদিবাসীদের বিক্ষোভ ধীরে ধীরে বাড়ছিল। গরম হচ্ছিল পাহাড়ের তাওয়া। সে সুযোগে উত্তপ্ত তাওয়ায় রুটি শেঁকে নেয় দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর বৃহৎ একটি অংশ। একজনমাত্র ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়, বাকিরা কেউই ধরা পড়েনি। আদৌ পড়বে কি না, কেউ জানে না। পূর্বের অভিজ্ঞতা বলে, এসব গ্রেপ্তার নিছক লোক দেখানো। কয়েকদিন পরই এরা ছাড়া পেয়ে যায়। আজ পর্যন্ত কোনো আদিবাসী কিশোরী বা নারীকে ধর্ষণ, হত্যা, আগুন দিয়ে বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় কারো বিচার হয়েছে, এমন নজির নেই।
তা ছাড়া, পার্বত্য এলাকায় কোনো সংঘাতের পর আইন-আদালত, কৌসুলি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিবেদন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বাঙালি সেটেলারদের সমর্থন পাহাড়ি আদিবাসীদের দোষী সাব্যস্ত করতে সদপ্রস্তুত হয়ে থাকে।
পাহাড়ের আদিবাসীরা একটা রাষ্ট্রীয় ও সংখ্যাগুরুবাদী আগ্রাসনের মুখে পড়েছে। এর ফলে আদিবাসীদের স্বাধীন সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগত অস্তিত্ব হুমকিতে রয়েছে। সারাক্ষণ পাহাড়ি আদিবাসীদের অপরায়ণের প্রক্রিয়া, তাদের নিজভূমে পরবাসী, অনুপ্রবেশকারী, অভিবাসী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী করে রেখেছে। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবেই তারা যেখানে তাদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত, সেখানে আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি আরও পরের বিষয়। সংবিধান যেন পাহাড়ে এসে আদিবাসীদের ক্ষেত্রে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
কিন্তু আদিবাসীরা তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার সমুন্নত রাখতে চায়। তারা তাদের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগত পরম্পরা, ভূমির অধিকার সুরক্ষিত রাখতে চায়। তারা শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করতে চায়। তাই সব ধরনের নিপীড়ন ও আধিপত্যবাদী প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে তারা মাঝে মাঝেই ফুঁসে ওঠে। তখনই বাঙালিদের সঙ্গে তাদের সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
অনেক বছর ধরেই আদিবাসীরা লড়ছে মূলত ন্যায়বিচার ও মর্যাদার জন্য। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবারও পাহাড়ে আদিবাসীদের সাথে সেটেলার বাঙালিদের সংঘর্ষের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কিছু ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে সেটেলারদের সঙ্গ দিতে দেখা যায় আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের।
আমরা দেখতে পাই, এসব সংঘাতে প্রাণ যায় আদিবাসীদেরই। এবারের অক্টোবরে যেমন আদিবাসীদের প্রাণ গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরেও প্রাণ গেছে আদিবাসীদেরই। সেটেলারদের টিকিটিও ছোঁয়া যায় না। সংঘাতের আগুনে ঘি ঢালা এবং পাহাড়ি আদিবাসীদের হত্যা করা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরও কিছু হয় না, এমনই অভিযোগ আদিবাসীদের।
উপরন্তু এসব সংঘাতের সময় গুজবের বন্যা বয়ে যায়। মিথ্যা তথ্যে সয়লাব হয়ে যায় গণমাধ্যম। এসব গুজব ও মিথ্যা প্রচারণার মধ্য দিয়ে, মূলত আদিবাসীদের ওপর হওয়া সব ধরনের নিপীড়ন ও হত্যাকে, বৈধতা দেওয়া হয়। বিভিন্ন ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করার পরও, আদিবাসীদের ওপর নিপীড়নকারী ব্যক্তি-গোষ্ঠী ও বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না রাষ্ট্রকে।
উল্টো নির্যাতিত পাহাড়ি আদিবাসীদের অভিযোগকে খারিজ করা হয়েছে বারবার। যেমন এবারও ধর্ষিত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তার মানে ওই শিক্ষার্থী ধর্ষিতই হননি! বিস্ময়কর ঘটনা হলো, যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে প্রকাশের আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে চিকিৎসা প্রতিবেদন ধর্ষিতার ছবিসহ প্রকাশ পেয়ে যায়।
এমন ঘটনা নজিরবিহীন নয়। অতীতেও বহুবার হয়েছে। পাহাড়ি আদিবাসীরা এসব ঘটনা দেখতে দেখতে অভ্যস্ত। ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে, কিন্তু প্রতিবেদন আসে নেতিবাচক।
সমতলের সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কি এমন হয় না? অবশ্যই হয়। ঘটনাবিশেষে প্রভাবশালী মহল এসব কারসাজি করে থাকে। কিন্তু সেসব ঘটনা হয়তো কেবলই ক্ষমতা ও শ্রেণিপ্রশ্নে সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু পাহাড়ের বাস্তবতায় (বা সমতলের আদিবাসীদের ক্ষেত্রেও) এ ধরনের ঘটনায় জড়িয়ে থাকে জাতিগত ঘৃণা, নিপীড়ন, দমন, নিশ্চিহ্নকরণ, দখলদারিত্ব এবং বাঙালি আধিপত্যের বিষয়গুলো।
সর্বগ্রাসী জুলুমের মধ্যে থাকতে থাকতে রাগ, দুঃখ, ক্ষোভ, অভিমানে পাহাড়ের আদিবাসীরা মাঝে মাঝে নীরব হয়ে যান। এটা তাদের প্রকৃতি। কিন্তু মাঝে মাঝে বিশেষ ঘটনায় তাদের আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। এ ধরনের বহিঃপ্রকাশ বা বিক্ষোভ খুবই সাময়িক। বুকে-পিঠে আঘাতের স্মৃতি নিয়ে তারা আবারও চুপ হয়ে যান, নীরবতায় মুষড়ে পড়েন। তাই বলে কি তাদের ওপর হওয়া অবিচারকে তারা ভুলে যান? না। তারা শান্তিপ্রিয়। তারা চান যে কোনো মূল্যে শান্তি ফিরুক। কিন্তু শান্তি ফেরে না। তাদের শান্তিতে থাকতে দেওয়া হয় না। কিছুদিন পরপর একটা না একটা ঘটনা সেখানে ঘটানো হয়। তৈরি করা হয় অস্থিরতা। ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস আর ফেলতে পারেন না পাহাড়ের আদিবাসীরা।
অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করেন এই ভেবে যে, রাষ্ট্র অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনভিত্তিক শাস্তি নিতে তো পারেই না, উল্টো অন্যায়ের প্রতিবাদ ও ন্যায্য দাবিতে কর্মসূচি ডাকলে তার সংগঠকদের ধরে নিয়ে অত্যাচার করা হয়। কর্মী ও সংগঠকদের “ডেকে পাঠানো হয়”। অপরাধ দমনে তৎপর হওয়ার বদলে বিচার চাওয়াটাকেই অপরাধ বলে গণ্য করা হয়।
আদিবাসীদের ওপর নিপীড়নের সব খবরও দেশের গণমাধ্যমে আসে না। কারণ, বাংলাদেশের গণমাধ্যম এমনিতেই রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাহাড়ে এই নিয়ন্ত্রণের মুঠো আরও শক্ত এবং সুনির্দিষ্টভাবে আদিবাসীদের পক্ষে কথাবার্তা বলার স্বাধীনতা কম।
কথিত “উপজাতি সন্ত্রাসী”দের বিরুদ্ধে, চাঁদাবাজির বিস্তর অভিযোগ পাওয়া যায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। অথচ পাহাড়ের আদিবাসীদের কাছে জিজ্ঞেস করলে জানা যাবে, সেখানে চাঁদাবাজি করে প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। সেসব কখনো গণমাধ্যমে আসে না। এমন কি অভিযোগ হিসেবেও আসে না।
বহু বছর ঔপনিবেশিক শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়েছে বাঙালিরাও। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বুটের লাথিতে তাদের পাঁজর ভেঙেছে। এই বাঙালিরাই স্বাধীনতার জন্য, আত্মমর্যাদার জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে একটা স্বাধীন রাষ্ট্র পাওয়ার পর তো, তাদেরই সবচেয়ে উদার, মানবিক এবং দায়িত্বশীল জাতি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আদিবাসীদের ক্ষেত্রে তাদের চরিত্র আজ নিপীড়কের ভূমিকায়, আগ্রাসনের ভূমিকায়। আজ তাদেরই সামরিক বাহিনীর বুটের তলায় পিষ্ট হচ্ছেন পাহাড়ের আদিবাসীরা।
পাহাড়ি আদিবাসীদের বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রতীয়মান করতে উঠেপড়ে লেগেছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী, প্রতিষ্ঠান এবং বাঙালিদের একাংশ। অথচ রাষ্ট্রই এখানে বারবার প্রমাণ করেছে, তারা নিজেরাই বিচ্ছিন্নতাবাদী, নানা প্রক্রিয়ায় তারাই বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চায় আদিবাসীদের।
চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি একটি কর্মসূচিতে আদিবাসীরা প্রথমবারের মতো রাজধানীতে হামলার শিকার হন। কর্মসূচিটি ছিল পাঠ্যবইয়ে জুলাইয়ের একটি গ্রাফিতিতে সম্প্রীতির বার্তা বহনকারী গাছ থেকে আদিবাসী লেখা সংবলিত পাতা মুছে ফেলার প্রতিবাদে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ঘেরাও কর্মসূচি। হামলাকারীরা ছিল ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’, যারা উগ্র, সাম্প্রদায়িক, আদিবাসী-বিদ্বেষী একটি সংগঠন। হামলায় আদিবাসী ছাত্র-জনতার মধ্যে প্রায় ২১ জন কমবেশি আহত হন। কারও কারও আঘাত এত বেশি ছিল যে, তারা এখনও সেসব বয়ে বেড়াচ্ছেন। কাউকে কাউকে হয়তো আমৃত্যু সেসব আঘাত বয়ে বেড়াতে হবে। কেউ কেউ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন যা এখনও ঠিক হয়নি। অথচ হামলার সময় কর্তব্যরত পুলিশ ছিল নির্বিকার।
ওই ঘটনায় আদিবাসীরা মামলা করার পর হামলার দায়ে স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল। অথচ কয়েকদিনের মধ্যে জামিন নিয়ে তারা বের হয়ে যায়। পুলিশ এখনও মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দিতে পারেনি।
জটিল পরিসংখ্যানে যেতে চাই না। সাধারণ অর্থে সোজাসুজি বলতে চাই, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে আদিবাসীদের ওপর যে পরিমাণ নিপীড়ন চলতো, ৫ আগস্টের পর থেকে আদিবাসীসহ দেশের সব প্রান্তিক মানুষের ওপর নিপীড়নের মাত্রা তার চেয়ে বেড়েছে।
রেজিস্টেন্স যে কোনো ব্যক্তি, জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। দমন-পীড়ন ও নিশ্চিহ্নকরণ কর্মসূচির বিপরীতে প্রতিরোধই হয়ে উঠে টিকে থাকার সংগ্রাম। আদিবাসীরা দশকের পর দশক সেই টিকে থাকার সংগ্রামই করে যাচ্ছে। আর তাদের টিকে থাকার সংগ্রামকে কেউ কেউ নাম দিয়েছে “বিচ্ছিন্নতাবাদ”।
এভাবে অপরায়ণ, বিচ্ছিন্নায়নের মধ্যে টিকে থাকার সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আদিবাসীদের হাতে কোনো বিকল্প নেই। টিকে থাকার লড়াই-ই মূলত প্রতিরোধ। আর এ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে টিকে থাকার অধিকারও হারাবে আদিবাসীরা।●
জুয়েল মারাক একজন সাংবাদিক ও অধিকারকর্মী।